বিষণ্ণতা / Depression
জীবনের কোন না কোন পর্যায়ে বিষন্নতা বা ডিপ্রেশনে ভুগেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়। ডিপ্রেশনের চমৎকার চিকিৎসা রয়েছে হোমিওপ্যাথিতে। কিন্তু সকল মানুষের ডিপ্রেশনের কারণ, ধরণ যেখানে এক নয় সবার চিকিৎসাও তেমনি এক নয়। কেন্ট রেপার্টরিতে রয়েছে বিষণ্নতার ২৭৮ টি ওষুধ যার কোন না কোনটি প্রয়োগ করে রোগীকে নিরাময় করা হয়। যে সকল বিষয় বিশ্লেষণ করে ডিপ্রেশনের চিকিৎসা দেয়া হয় তাই আজকের আলোচনার বিষয়।
রুব্রিক:
মন-দু:খবোধ
মন-দু:খবোধ /বিষাদ হতে রোগ
মন-আত্মহত্যার প্রবণতা
কারণ বা নিদান:
ব্যর্থপ্রেম, প্রেমে হতাশা, শোক, ক্ষোভ, ব্যবসায় বিফল, পরীক্ষায় আশানুরূপ ফল না হওয়া বা যে কোন ব্যর্থতা-হতাশা ইত্যাদি।
লক্ষণের হ্রাস-বৃদ্ধি:
সময়: বিষণ্ণতার সুনির্দিষ্ট সময় থাকতে পারে। ঘুম হতে উঠলে, ভোরে, সন্ধ্যায়, সুর্যোদয় বা সুর্যাস্তের সময় ইত্যাদি।
স্বাত্বনায় লক্ষণ বৃদ্ধি বা উপশম পেতে পারে। রোগী স্বাত্বনা পেতে ইচ্ছুক বা অনিচ্ছুক হতে পারে।
মানুষের সংগ পেলে লক্ষণের হ্রাস-বৃদ্ধি দেখা দিতে পারে। সংগ কামনা করে বা একা থাকতে পছন্দ করে। একা থাকলে লক্ষণের হ্রাস বা বৃদ্ধি হতে পারে ইত্যাদি।
মাসিকের পূর্বে, সময়ও বা পরে লক্ষণের হ্রাস-বৃদ্ধি হতে পারে।
মানসিক:
প্রকাশ/অভিব্যক্তি: নীরব দু:খ, সহজেই কাঁদে, বা অনেক দু:খবোধ থাকলেও একদম কাঁদতে পারেনা, দীর্ঘশ্বাস ফেলে ইত্যাদি।
মেজাজের পরিবর্তনশীলতা: দু:খবোধ, প্রফুল্লতা, বিরক্তি ইত্যাদির সাথে বিষণ্নতা।
মানসিক ক্রিয়াকলাপ: নিস্তেজতা, একাগ্রতার অভাব, স্মৃতিশক্তির দুর্বলতা ইত্যাদি।
উদাসীনতা: প্রিয়জন, আনন্দ বা বিনোদন, কাজ সবকিছুর প্রতি উদাসীন হয়ে পড়তে পারে।
সংগীতে হ্রাস-বৃদ্ধি: দু:খজনক সংগীত কামনা করে। সংগীতের প্রতি সংবেদনশীল ইত্যাদি। সংগীতে লক্ষণ উপশম বা বৃদ্ধি পেতে পারে।
আত্মহত্যার প্রবণতা: আত্মহত্যার চিন্তা করে। নিজেকে গুলি করে, উঁচু স্থান হতে লাফ দিয়ে, কিছুর সাথে ঝুঁলে বা ছুরিকাঘাত করে আত্মহত্যার কথা ভাবে।
শারীরিক:
বুকে চাপবোধ, গলায় পিন্ড আটকে থাকার লক্ষণ।
ঘুম: নিদ্রাহীনতা, খিঁচুনি, হাঁচি, ঘুমিয়ে পড়ার সময় হাত-পায়ের ঝাঁকুনি, ক্রন্দন, ঘুমের ভেতর কথা বলা, ঘুমের ভেতর চিৎকার করা ইত্যাদি। ঘুম হতে জেগে উঠে পরে নিদ্রাহীনতা, শোকের কারণে আর ঘুমাতে না পারা, নির্দিষ্ট সময়ে জেগে ওঠে। মাথার ভেতর অতীতের অপ্রীতিকর ঘটনাসমূহ ঘুরপাক খায় ইত্যাদি।
স্বপ্ন: ভীতিকর, উদ্বিগ্ন, দু:খিত ইত্যাদি।
খাবারে আগ্রহ/অনাগ্রহ: লবন, ফল, মিষ্টি ইত্যাদি খেতে আগ্রহ বা অনীহা।
যৌনাকাংখা: তীব্র আকাংখা বা অনাকাংখা। আকাংখা হ্রাস-বৃদ্ধি পেতে পারে ইত্যাদি।
আনুষংগিক লক্ষণসমূহ: চুলপড়া, লিউকোরিয়া, মাসিকের অনিয়ম, কোষ্ঠকাঠিন্য, দুর্বলতা ইত্যাদি।
উল্লেখ্য, সকল লক্ষণ সবার ভেতর থাকেনা। সার্বিক লক্ষণ সাদৃশ্যেই চিকিৎসা দেয়া হয়।