কোমর ব্যথা তথা লাম্বাগো অথবা সায়েটিকা একটি সাধারণ রোগ যাতে বহু মানুষ ভুগে থাকে। এ জাতীয় কেস নেবার সময় আমরা রোগীর যে সকল বিষয়ে খোঁজ খবর নেই এবং যেসবের ভিত্তিতে একটি পূর্ণাংগ কেস দাঁড় করাই তা নিয়েই আজকের আলোচনা। উল্লেখ্য রোগীর লক্ষণসমষ্টি স্পষ্ট হলেই কেবল এই কেসের ভিত্তিতে সঠিক ওষুধ খুঁজে পাওয়া যাবে এবং এবং আরোগ্যও দ্রুত সাধিত হবে।

রুব্রিক: হাত-পায়ে ব্যথা বিশেষত: নিম্নাংশে ব্যথা, সায়েটিকা, লাম্বার এলাকার কোমর ব্যথা।

পীড়ার কারণ বা নিদান: আঘাত, ক্রোধ, বিরক্তি, ঠান্ডা লাগা, অতিরিক্ত যৌনাচার ইত্যাদি।

ব্যথা:

প্রকৃতি: খোঁচামারা, সূঁচফোটানোর মত, জ্বালাজনক, ইলেকট্রিক শকের মত ইত্যাদি।

ব্যথার ব্যাপ্তি: ব্যথা উরুতে, পিঠের উপর দিকে, পায়ের দিকে, পায়ের তলায় ছড়িয়ে পড়ে।

হ্রাস-বৃদ্ধি:

চলাফেরায় (বৃদ্ধি বা উপশম): যেমন – হাটলে, দাড়িয়ে থাকলে, সামনের দিকে ঝুঁকলে, চলাফেরার শুরুতে, বসা হতে উঠলে, মৃদু চলাফেরা বা সঞ্চালনে, বহুক্ষণ বসে থাকলে, ভারি কিছু উত্তোলন করলে, কোন দিকে ঘুরলে, পিঠ সোজা করলে, অংগ প্রত্যংগ ভাঁজ করলে ইত্যাদি।

ঝাঁকি লাগলে: ঝাঁকি লাগলে, পা ফেললে, ভুলভাবে পা ফেললে, শ্বাস-প্রশ্বাসকালীন, হাঁচি-কাশির সময় এমনি হাসাহাসি করলে ইত্যাদি।

স্পর্শ: স্পর্শ করলে/ চাপ দিলে বৃদ্ধি বা উপশম। ম্যাসাজ করলে বিশেষ করে শক্তভাবে চাপ প্রয়োগ করে মালিশ করলে ইত্যাদি।

গরম বা ঠান্ডা সেঁক দিলে।

আবহাওয়া: গরম, ঠান্ডা, স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ায় বা আবহাওয়ার পরিবর্তনের সময় হ্রাস-বৃদ্ধি।

অবশভাব: এটার নির্দিষ্ট প্রসারণ, অন্য লক্ষণের সাথে পর্যায়ক্রমে, নির্দিষ্ট সময় ও অবস্থানের সাথে হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটতে পারে।

অবস্থানে হ্রাস-বৃদ্ধি: যেমন- বসে থাকলে, ব্যথাযুক্ত পাশে শয়নে, শক্ত কিছুর উপর শয়নে, শয়নকালীন বৃদ্ধি। কখনও বা শয়নে উপশম।

সময়: দিন-রাতের সুনির্দিষ্ট সময়, ভোরে, ঘুম হতে উঠলে, দুপুরবেলা, বিকেলবেলা, সন্ধ্যাবেলা, রাতে বিছানায়, ঘুমের ভেতর ইত্যাদি।

আনুষংগিক লক্ষণ: এর সাথে বিরক্তি, পিপাসা ও মাসিকের নানান গোলযোগের সম্পর্ক থাকতে পারে।