
এরোগে নাক দিয়ে রক্তপাত হয়।
কোন প্রকার আঘাতের ফলে রক্তক্ষরণ হতে পারে। এটা টাইফয়েডের মত কিছু রোগের অগ্রদূত হতে পারে। নাকের রক্তনালীর দুর্বলতার কারণে এ রোগ হতে পারে। রক্তনালীর দেয়ালের পরিবর্তনের কারণে বষষ্ক ব্যক্তিদের এ রোগ দেখা দেয়। অনেক রোগী কিডনী ও লিভারের সিরোসিসে ভুগতে থাকতে নাক দিয়ে রক্তপাত হয়ে থাকে। নাকের কোন প্রকার ক্ষত হতেও রক্তপাত হয়। রক্তশুন্যতা এবং ক্লোরোসিসের মত রোগের কারণে ও হতে পারে। যে সকল মহিলার নিয়মিত মাসিক ঋতুস্রাব হয়না তাদের মধ্যে ও এ রোগ দেখা দেয়।
এ রোগের ক্ষেত্রে নাকটি অবশ্য পরীক্ষা করে দেখতে হবে যে সেখানে কোন কাঠামোগত পরিবর্তন হয়েছে কিনা।
উপসর্গ: বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে নাকের সেপ্টাম হতে রক্তপাত হয় যা নাকের পিছনের অংশে থাকে। রাতে রক্তপাত হলে রক্ত ন্যাসোফ্যারিনক্সে প্রবেশ করে। রোগী কাশির মাধ্যমে তা তুলে ফেলে বা গিলে ফেলে। এমন কি রক্তবমিও হতে পারে।
ঘন ঘন রক্তক্ষরণ হলে রোগী রক্তাল্পতায় ভুগতে শুরু করে।
চিকিৎসা: সাধারণত রক্তপাতের বেশীরভাগ ক্ষেত্রে নাকে ঠান্ডা পানি লাগালে তা বন্ধ হয়ে যায়। অথবা ঘাড়ের পিছনে ঠান্ডা প্রয়োগে বা মাথার উপরে হাত তুলে রাখলে রক্তপাত বন্ধ হয়ে যায়।
নাকের যে পাশ দিয়ে রক্তপাত হয় তা চেপে রাখলে রক্তপাত বন্ধ হয় অনেক সময়। রক্ত জমাট না বাঁধা পর্যন্ত চেপে রাখতে হয়। এ সময় নাক ঝাঁড়ার বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন জরুরি।
হোমিওপ্যাথিতে এ রোগের ২৩৯ টির মত ওষুধ আছে। রোগীর সার্বিক লক্ষণ সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে যার জন্য যে ওষুধ অধিক সাদৃশ্যযুক্ত তাই প্রয়োগ করতে হবে।
হোমিওপ্যাথিতে এ রোগের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হলো: থুতুতে রক্ত দেখা যায়, রক্তাল্পতা, মাসিক ঋতুস্রাব রুদ্ধ হয়ে নাক দিয়ে রক্তস্রাব। এছাড়া রেগে গেলে, গোসলের পরে, নাক ঝাঁড়লে, ঠান্ডা লেগে, খিঁচুনি হতে, অর্শ বা পাইলস এর সাথে নাক দিয়ে রক্ত পাত দেখা যায়।
নাক দিয়ে রক্তপাত শিশুদের ক্ষেত্রে অধিক দেখা গেলেও বয়ষ্কদের ও অনিয়মিত ঋতুস্রাব বা ঋতুস্রাব একদম বন্ধ থাকলেও দেখা দিতে পারে। মুখ বা পা ধোয়ার সময় অনেকের রক্তপাত হয়। রক্তপাতের সাথে মাথাব্যথা থাকতে পারে।