গলস্টোন হল কঠিন পদার্থের টুকরা যা পিত্তথলিতে তৈরি হয়। পিত্তথলি লিভারের নিচে একটি ছোট অঙ্গ। ডাক্তার বলতে পারেন যে আপনি কোলেলিথিয়াসিসে ভুগছেন।

পিত্তথলির কাজ লিভারে তৈরি তরল পিত্তরস মজুদ করে ছেড়ে দেয়া। পিত্ত কোলেস্টেরল এবং বিলিরুবিনের মতো বর্জ্য (wastes) বহন করে যা শরীর যখন লোহিত রক্তকণিকা ভেঙ্গে তৈরি করে। এই জিনিসগুলি পিত্তথলির পাথর তৈরি করতে পারে।

পিত্তথলির পাথর বালুকণা হতে গল্ফ বলের মতো সাইজের হতে পারে। যতক্ষণ না তারাপাথর পিত্তনালী বন্ধ করে দেয় বা ব্যথা সৃষ্টি করে ততক্ষণ আমরা তা অনুভব করি না। একবার আক্রান্ত হলে দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। অ্যালোপ্যাথিক ডাক্তারের চিকিৎসার একমাত্র উপায় হল অস্ত্রোপচার।

পিত্তথলির পাথর দুই প্রকার:

কোলেস্টেরল পাথর : এগুলি সাধারণত হলুদ প্রকৃতির হয়। এগুলি ৮০% পাথরের ক্ষেত্রে দেখা যায়।

রঙ্গক পাথর: এগুলি ছোট এবং এগুলো বিলিরুবিন দিয়ে তৈরি।

পিত্তথলির পাথরের লক্ষণ:

1. উপরের পেটে ব্যথা, প্রায়ইবিশেষত: ডান দিকে ব্যথা বা শুধু পাঁজরের নিচে

2. ডান কাঁধে বা পিঠে ব্যথা

3. পেট খারাপ

4. বমি ও বমি বমি ভাব

5. বদহজম, অম্বল এসিডিটি এবং গ্যাস-পেটফাঁপা সহ হজমের সমস্যা

বেশিরভাগ সময় ব্যথা কয়েক ঘন্টা স্থায়ী হয়। রোগীরা ঠাণ্ডা অনুভব করতে পারে। হলুদ ত্বক বা চোখ থাকতে পারে। ঘন রংয়ের প্রস্রাব এবং হালকা রঙের মল।

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা রোগীর সামগ্রিক শারীরিক-মানসিক অবস্থা ও প্রধান লক্ষণ সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে পিত্তথলির চিকিৎসা করতে পারে।