সেরোটোনিন একটি নিউরোট্রান্সমিটার যা আমাদের ভেতর সন্তুষ্টি, সুখ এবং আশাবাদের অনুভূতি সৃষ্টি করে। এজন্য সেরোটোনিন কে হ্যাপী হরমোন (happy hormore) বলা হয়। বিষন্নতায় সেরোটোনিনের মাত্রা হ্রাস পায়। বেশিরভাগ আধুনিক অ্যান্টি-ডিপ্রেসেন্ট ওষুধ, যা সেরোটোনিন রিউপটেক ইনহিবিটরস (SSRIs) নামে পরিচিত, মস্তিষ্কের কোষগুলিতে উপলব্ধ সেরোটোনিনের পরিমাণ বাড়িয়ে কাজ করে। কিন্তু এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে।

সেরোটোনিনের মত আরো কিছু Happy hormone আছে যেমন – ডোপামিন, এন্ডোরফিল, অক্সিটোসিন।

সেরোটোনিন কেবল আমাদের সুখের অনুভূতিই সৃষ্টি করেনা বরং এটি খোঁশ মেজাজ, ক্ষুধা এবং প্রশান্তিদায়ক ঘুম নিশ্চিত করে। এছাড়া হাঁড় ও দাঁতের স্বাস্থ্যে অবদান রাখে এবং অন্ত্রের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে কোষ্ঠ্যকাঠিন্য নিরাময় করে। ক্ষতের দ্রুত নিরাময়ে ও সেরোটোনিন কার্যকর। 

ওষুধ গ্রহণ না করেও প্রাকৃতিক ভাবে আমরা সেরোটিনিনের স্বাভাবিক মাত্রা ঠিক রাখতে পারি। এজন্য আমাদের সঠিক পুষ্টিকর খাবার পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করতে হবে, নিয়ম করে ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে, সূর্যালোকের সংস্পর্শে আসতে হবে, নিয়মিত খাবারের বাইরে সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে হবে এবং খুবই ইতিবাচক ভাবে আমাদের স্ট্রেস বা মানসিক-আবেগিক চাপ ম্যানেজ করতে হবে।

যে সকল প্রাকৃতিক খাবারে সেরোটোনিন আছে তা হলো:

  1. প্রাকৃতিক প্রোবায়োটিক যেমন – টক দই,
  2. পালং শাকের মত গাঢ় সবুজ শাক-সবজি,
  3. আনারস,
  4. বিভিন্ন রকমের বাদাম এবং ফল বা সবজির বীজ,
  5. দুগ্ধজাত পণ্য যেমন – দুধ ও পনির,
  6. নানান রকম সয়া পণ্য, সয়া দুধ,
  7. বিভিন্ন প্রকারের মাছ,
  8. প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতে ডিম,
  9. মুরগির গোশত।

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা মেজাজ, ঘুম, অবসাদ, ইত্যাদি নিরাময়ে উত্তম ব্যবস্থা। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা লক্ষণভিত্তিক। রোগীর সার্বিক শারীরিক-মানসিক লক্ষণের উপর ভিত্তি করে সফল চিকিৎসা নিশ্চিত করা যায়।