মলদ্বারের মুখের আদ্র পাতলা টিস্যু (mucosa) ছিড়ে যাওয়াকে Anal Fissure বলে। বৃহৎ এবং শক্ত মলত্যাগের সময় এ্যানাল ফিশারের সৃষ্টি হয়। মলত্যাগের সময় বা পরে ফিশার হতে রক্তপাত হতে পারে এবং দীর্ঘক্ষণ জ্বালাকর ব্যথাও থাকতে পারে। শিশুদের মধ্যে এ্যানাল ফিশার অধিক দেখা দিলেও বড়রাও এ রোগে ভুগে থাকেন।

Symptoms of Anal Fissure:

  1. তীব্র ব্যথা, বিশেষত: মলত্যাগ করার সময়,
  2. মলত্যাগ করার পর ব্যথা যা দীর্ঘক্ষণ থাকতে পারে,
  3. মলত্যাগের সময় বা পরে টকটকে লাল রক্তক্ষরণ,
  4. মলদ্বারের মুখে চুলকানি,
  5. মলদ্বারের মুখে ফেঁটে যাওয়া,
  6. মলদ্বারের মুখে মাংশের টুকরা, লাম্প বা স্কীন ট্যাগ।

Causes of Anal Fissure:

  1. বৃহৎ ও শক্ত মলত্যাগ,
  2. অনেক দিন ধরে কোষ্ঠ্যকাঠিন্যে ভোগা,
  3. মলত্যাগের সময় অতিরিক্ত কোঁথ দেয়া,
  4. ক্রণিক ডায়রিয়া,
  5. মলদ্বার এলাকায় প্রদাহ। যার কারণ Crohi’s diseases বা inflammatory bowel diease (IBD)
  6. মহিলাদের সন্তান প্রসবকালীন জটিলতা।

সাধারণত colonoscopy করে এ্যানাল ফিশারের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। ৫০ বছরের কম বয়ষ্কদের ক্ষেত্রে অনেকের sigmoidoscopy করা হয়।

Complications:

  1. অনেকের এ্যানাল ফিশার মাঝে মধ্যেই তাকে ভোগায়। সাধারণ এ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসায় সারেনা এবং ক্রণিক অবস্থায় রূপান্তরিত হয়,
  2. একবার মলদ্বার ফেঁটে গেলে পুন: পুন: ফাঁটতে থাকে। এমনকি নরম মলত্যাগের সময় কোঁথ দিলেও ফেটে যায়,
  3. ফেঁটে যাওয়াটা আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।

এ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা: এ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসকেরা রোজ কয়েকবার বিশেষত: মলত্যাগের পর গরম পানিতে মলদ্বার ডুবিয়ে বা ভিজিয়ে রাখতে পরামর্শ দেন। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে তারা সার্জারির শরণাপন্ন হন। নন-সার্জিক্যাল চিকিৎসার মধ্যে – বাহ্যিকভাবে Nitrogylcerin, Streroid creams, botox injection, blood pressure medication ব্যবহার করা হয়।

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা: হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা দিতে ডাক্তার রোগীর সার্বিক লক্ষণ সংগ্রহের পাশাপাশি রোগীকে নিম্নোক্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন:

  1. ঠিক কবে, কতদিন থেকে এনাল ফিশারের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে?
  2. প্রতিবার মলত্যাগের সময় বা পরে রক্তপাত হয় কিনা?
  3. জ্বালাকর ব্যথা কতক্ষণ স্থায়ী হয়?
  4. লক্ষণ কি সার্বক্ষণিক থাকে না মাঝে মধ্যে দেখা দেয়?
  5. লক্ষণ কতটা তীব্র?
  6. ঠিক কোন্ স্থানে লক্ষণাদি অধিক অনুভূত হয়?
  7. কি করলে লক্ষণের উপশম দেখা দেয়?
  8. কখন, কোন অবস্থায় লক্ষণ বৃদ্ধি পায়?
  9. অন্য কোন রোগের জন্য চিকিৎসা নিচ্ছেন কিনা?
  10. কোষ্ঠ্যকাঠিন্য কেমন?

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় এ্যানাল ফিশারের ৫০ এর অধিক ঔষুধ আছে। সার্বিক বিবেচনায় যে কোন ঔষুধ নির্বাচিত হতে পারে।

কিছু পরামর্শ:

ডাক্তারের সাথে পরামর্শের আগে অন্য চিকিৎসাধীন থাকলে তা পরিত্যাগ করুন। কোষ্ঠ্যকাঠিন্য সৃষ্টি করে এমন খাদ্য-পানীয়-জীবনাচার এড়িয়ে চলুন। পর্যাপ্ত পানি পান করুন। আশযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করুন এবং নিয়মিত ব্যায়াম করুন। মলত্যাগকালীন অধিক কোঁথ দেয়া থেকে বিরত থাকুন।